ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকা অবস্থা থেকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ হাসপাতালে উন্নত করেছেন ডাঃ হাবিবুর রহমান (পঃপঃ)। হয়েছেন পুরুষ্কৃত। তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় বেড়েছে স্বাস্থ্য সেবার মান ও সাধারন মানুষের আস্থা। বর্তমানে ৩২ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ৩২ জন নার্সসহ ২৭০ জন নিয়ে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে থাকা প্রতিটি ক্লিনিকে বাড়ছে জবাবদিহিতা। বিশাল জনগোষ্ঠীর নবীনগর উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নানা সমস্যা, ডাক্তার সংকট, ঔষধ সংকট, নোংরা পরিবেশ, দালালের দৌরাত্ম্যে ভরপুর থাকলেও এখন তার চিত্র ভিন্ন। পাশবর্তী উপজেলাসহ নিজ উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা প্রার্থীরা এক সময় হাসপাতাল বিমুখ থাকলেও এখন প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর সংখ্যা ও উন্নত সেবার প্রত্যাশা। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া হাসপাতালের সেবার মান গত কয়েক বছরে বেড়েছে সুনামের সাথে। হাসপাতালের মান উন্নয়নে ডাঃ হাবিবুর রহমান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ উর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কতৃপক্ষের সাথে করেছেন নিষ্ঠার সাথে যোগাযোগ ও পরামর্শ। সেবা নিতে আসা কিবরিয়া সর্দার জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত থাকা হাসপাতালটির চমকপ্রদ পরিবর্তন ও সেবাই আমি মুগ্ধ। লতিফা আক্তার নামে একজন রোগী জানান, হাসপাতালের সবাই খুউব ভালা ব্যবহার করে। নিয়মিত আইসা দেখে যায় আর ঔষধ দেয়। ডাঃ সাদ্দাম হোসেন জানান, রোগীদের আস্থা ও সেবা দিতে পেরে আমরাও খুশি। এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এত ভিড় হয় তবু ভাল লাগে। হাবিবুর রহমান স্যারের অক্লান্ত শ্রম, প্রচেষ্টা, নিয়মানুবর্তিতা, মনিটরিং ও ব্যবহারে সবাই প্রাণবন্ত হয়ে থাকি। মাও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মহিমা খন্দকার জানান, ঋতু পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন রোগের প্রকোপে আক্রান্ত রোগী ও অন্যান্যদের ক্ষেত্রে চেষ্টা করি এখানে ভাল করে তোলার। যেন ঢাকাসহ অন্য কোন হাসপাতালে যেতে না হয়। তাছাড়া ধর্মীয় অনুভুতির ক্ষেত্রেও নজর রাখা হয়। ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করি রোগীদের ভাল সেবা দিতে। আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনেকেই অসহায়-দরিদ্র তাদের পক্ষে ঢাকায় গিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব না। এরা তো আমাদেরই ভাই-বন্ধু, আত্মীয়। আমরা চেষ্টা করি তাদেরকে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার ও আস্থা রাখার। নিজ উপজেলা ও নিজেদের মানুষের সেবা করতে পেরে আমি গর্বিত। ধন্যবাদ জানাই মাননীয় এমপি এবাদুল করিম বুলবুল স্যার, স্থানিয় জনপ্রতিনিধি ও আমাদের হাসপাতালে থাকা সকল ডাক্তার, নার্স ও কর্মীদের। তাদের ভালবাসা, আন্তরিকতা ও শ্রমের কারনেই আমরা এগিয়ে যেতে পেরেছি।
Leave a Reply