কলম আমার চায় না কখনোই আমারে
লিখতে কয়,তব দ্বিধায় রাখে নিজেরে
বলতে কয়,তব বলেনা ইচ্ছে করে
পুরে পুরে রাখে মোরে, বিলীন করে
আমার থেকেই আমারে, অনেকটাই দূর বহুদূরে।
কতবার ভেবেছিলাম, বলেছিলাম মিনতি লয়ে তারে
লিখতে সবার ভীড়ে, বিন্দু হলেও কবিরে।
কিন্তু কলম মোর আগেই বলেছে সবরে
লিখবে না কখনোই লিখার ছায়া প্রতিমারে
কারণ লিখার স্থায়িত্ব, জীবন্ত লিখার তরে।
অনেকদূর ভেবে চিন্ত্যে অতঃপর কইলাম আহারে
কলম আমার দীক্ষায় শিক্ষিত নান্দনিক ভীড়ে।
সত্যিই তো,স্বীয় প্রশংসারূপ দম্ভ স্বরূপ
পুড়াবে পাইলেই সুযোগ তরে, ধরে একেবারে
যতটা ধ্বংস করা যায় মিলে একজনারে
ইচ্ছে মতো খুশি যত আকারে প্রকারে।
আমি এরপর বুঝাইলাম নিজেই নিজ বুঝরে
আমিতো জ্ঞানী নই, রব কেরে জ্ঞানসাগরে?
আমারে খুঁজতে হবে, যেতে হবে জ্ঞানতরে
মস্তিষ্কের গভীরে রাখতে হবে প্রজ্ঞা ভরে
চাই যদি কাব্যের কাব্যিক ভাবে মোরে।
ইচ্ছার বিরুদ্ধ দৌড়ে হাঁটতে হবে সমরে
প্রজ্ঞা ধারে, এক ঠিকানালেশ কাব্যিক ভোরে
শ্রদ্ধাভরে মান্য করে, কাব্যের স্মরণী জুড়ে
হয়ত পাব, তবই প্রাধান্য ভরে ঘুণাক্ষরে
জ্ঞানের অস্ত্র, জ্ঞানীর বস্ত্র স্বার্থপর কলমটারে।
Leave a Reply