ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে নলছিটি۔বরিশালের আঞ্চলিক মহাসড়ক|সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন রোধে নেয়া হচ্ছেনা কোন ধরণের পদক্ষেপ| নলছিটি পৌর শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মান না হওয়ায় ১,৪,৫,৭,৮ নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গন এখনো রোধ হয়নি। এরই মধ্যে হারিয়ে গেছে মল্লিকপুর জামে মসজিদ, মাদরাসা,ফসলি জমি সহ অনেক ঘরবাড়ি এবং স্থাপনা।
এখনো বিলিনির পথে রয়েছে শত শত ঘর, মসজিদ ও নলছিটি বরিশাল আঞ্চিলিক মহাসড়ক। অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে সড়কের খুব কাছে চলে এসেছে সুগন্ধা নদী। যে কোন ঘূর্ণিঝড়ে সুগন্ধা নদীতে স্বাভাবিকর জোয়ারের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। এতে নলছিটি পৌর শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান তলিয়ে যায় ।
জলোচ্ছ্বাসের কারনে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয় এখানকার বসবাস কারিরা। স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে একটু পানি বৃদ্ধি পেলেই নলছিটি ফেরিঘাট ,খাস মহল ,লঞ্চ ঘাট, পুরাতন ইস্টিমার ঘাট ,সিকদারপাড়া সহ বিভিন্ন স্থানে পানি ঢুকে পরে। এর ফলে শহরের বাসিন্দারা পানি বন্দি হয়ে পরে । সাথে সাথে দেখা দেয় নদী ভাঙ্গন।
সিকদার পাড়া জামে মসজিদ,প্রাচীনতম খোজাখালি জামে মসজিদ, মল্লিকপুর এলাকা রয়েছে অধিক ঝুঁকির মধ্যে যে কোন সময় নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে। নলছিটি পৌর এলাকার মল্লিকপুরে নদী ভেঙ্গে নলছিটি বরিশাল সড়টির প্রায় ১০ ফুট দূরত্বে অবস্থান করছে । পথচারি আলম আবজাল মৃধা বলেন এই সড়কটি সুগন্ধা নদীতে যে কোন সময় ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে|
তখন বরিশালের সাথে নলছিটি বাসীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে । সড়ক রক্ষায় এলাকাবাসি অনেকবার মানববন্ধন সহ সড়ক অবরোধের মত কর্মসূচি পালন করলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ । এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব হোসেন জানান মল্লিকপুর খোজাখালি পর্যন্ত সড়ক রক্ষায় ৩২৫ মিটার জিও বালি ভর্তি ব্যাগ নদীতে ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন খুব শিগগিরই এর কাজ শুরু হবে।
এছাড়া উপজেলায় ২৪ শত মিটার স্হায়ী কাজের প্রস্তব প্লানিং কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটা পাস হলেই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আসছে বর্ষা মৌসুমে আগে নদী ভাঙ্গনের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া না হলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে উপজেলার নদী তীরবর্তী বসবাস কারি মানুষদের। তাই খুব দ্রুত এ ব্যাপার ব্যবস্থা নিতে সরকারে কাছে দাবী জানিয়েছে স্থানিয়রা।
Leave a Reply