কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারতীয় সীমান্তের হায়দ্রাবাদ এলাকায় মাদক কারবারী রাজু’র গুলিতে নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকারের বাড়িতে শান্তনা দিতে গেলেন পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি। নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকারের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার রাতে গিয়ে তার অসুস্থ বৃদ্ধ পিতা মোশাররফ হোসেন ও মা নাজমা বেগম কে শান্তনা দেন। তাদের দাবী সাংবাদিক ছেলে মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যার বিচার চান।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন এর ভারতীয় সীমান্তবর্তী হায়দ্রাবাদ এলাকায় চোরা কারবারি রাজু’র ছুড়া গুলিতে (৫টি) নিহত হয়েছে সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা পলাশ ও মনির সাংবাদিক মহিউদ্দিন কে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক এঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশ সহ সকল মহলে আতংক শোকের ছায়া নেমে আসে। জেলা মানবিক পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকারের বাড়িতে ছুটে যান গত বৃহস্পতিবার রাতে। নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকারের বাড়ি জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়ন এর অলুয়া সরকার বাড়ি। শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়ান জেলা পুলিশ ফারুক আহমেদ । মহিউদ্দিনের পিতা অবসর পুলিশ সদস্য মোশাররফ হোসেন ও তার মা নাজমা বেগম কে শান্তনা দেন। তারা তার সন্তান হত্যার বিচার চান। তারা বলেন পুলিশ সুপার সাহেব পারবেন অপরাধীদের কে গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করতে। পুলিশ সুপার তাদের কে শান্তনা দিয়ে বলেন আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকারের হত্যা কান্ডের সঙ্গে জড়িত কেউ ছাড় পাবে না সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার, বুড়িচং থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি অপেল্লা রাজু নাহা।
Leave a Reply