কুমেক হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, রাত সোয়া ২টায় রাজুকে র্যাবের গাড়িতে করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন সে আর বেঁচে নেই। হাসপাতালের রেজিস্ট্রি খাতায় রাত ২টা ১৫ মিনিটে তার নাম ঠিকানা নিবন্ধন করা হয়। পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মর্গে। এসময় হাসপাতালে উপস্থিত র্যাব সদস্যরা গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কোনো কথা বলেননি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, রাতে গোলাবাড়ি এলাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে রাজু নিহত হয়েছে। তার লাশ কুমেক হাসপাতালে আছে। পরে র্যাবের পক্ষ থেকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
এ ঘটনায় জোবায়ের নামের র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদ সীমান্তে মাদক কারবারির গুলিতে মহিউদ্দিন সরকার নাঈম নিহত হন। পরদিন রাতে নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৬ জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে ও একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলার আসামি মো. রাজুকে (২৪)। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
চারজনকে গ্রেফতারের পর বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুজন এজাহার নামীয় ও দু’জন অজ্ঞাতনামা আসামি। মামলার আসামিরা এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার মহিউদ্দিন পূর্ব পরিচিত ছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিক তদন্তে পেয়েছি।
Leave a Reply